যৌনপ্রবৃত্তির ব্যাপারে জনগণের ধারণা আজও এমন, যেন বিপরীতকামিতা বাদে আর কিছু জানার দরকার নেই। সত্যটা বোঝা দরকার, কেউ আকৃষ্ট হয় বিপরীত লিঙ্গের দিকে, কেউ শুধু একই লিঙ্গের দিকে, আবার কেউ দু’দিকেই। এবার প্রশ্ন আসে, একজন ব্যক্তি সমকামী বা উভকামী কি করে বুঝবে? নিজের অনুভূতির পথে হাঁটতে গিয়ে কেউ দ্রুত বুঝে ফেলে, কারো সময় লাগে। কেউ সম্পর্ক গড়বার আগে, কেউ পরে, এই ভিন্নতা সমাজ স্বীকার করতে এত কষ্ট পায় কেন?
সবচেয়ে বড় সমস্যা সংস্কার আর বৈষম্য। যার কারনে কেউ সহজে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না, অসহনীয় ভয়ে জীবনের রাস্তা বদলাতে বাধ্য হয়। জাতির আইনও আশেপাশে ডানা মেলে থাকে। ব্রিটিশ রাজ রেখে গেছে সেই কুখ্যাত ৩৭৭ ধারা, একই লিঙ্গের দুটি মানুষের যৌন মিলন মানে যাবজ্জীবন জেল! এমন আইনের ছায়ায় জীবন কাটানো মানে গোপনীয়তা, মিথ্যা, পীড়িত আত্মা। নারীর ক্ষেত্রে তো আরও কঠিন সমকামী নারী যেন সমাজের চোখে অচল হাড়!
সংস্কার, বৈষম্য, সহিংসতা মিলিয়ে সমকামী, উভকামী মানুষের চোখে জীবন হয়ে ওঠে যুদ্ধক্ষেত্র। স্কুলে, কর্মস্থলে, পরিবারে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা নেই। কেউ স্বাস্থ্যসেবা পায় না, কেউ ন্যায়বিচার দূরচিন্তা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা তাই স্পষ্ট , সমকামী পুরুষদের ৪৭% অন্তত একবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছে! কী নির্মম দেশ!
কিন্তু উত্তরটা আত্মহত্যা হতে পারে না। বৈচিত্র্য মানেই অভিশাপ, এই ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই হলেই মানবিকতা বাঁচে। আমি নিজেও উভকামী মানুষ, কীভাবে সমাজ এত নিষ্ঠুরভাবে বিচার করে? আমাদেরকে মানুষ বলেই গণ্য হতে আপনারা কষ্ট পান কেন? প্রেম, আকাঙ্ক্ষা, সম্পর্ক – এসব নিয়ে মানুষকে অভিশাপ দিয়ে সমাজ আসলে আরও অমানবিকই হয়ে ওঠে। সমকামী, উভকামী মানুষের প্রতি ঘৃণা, শিল্পিত বৈষম্য আর আইনগত নির্যাতন—এসব অবিচার থামানো দরকার। আমাদের আছে অনুভূতি, স্বপ্ন, সম্মান, তাই আমাদের সত্যিকারের পরিচয় প্রকাশের, বেঁচে থাকার, ভালোবাসার অধিকারও থাকা উচিত।
কারণ প্রকৃতি কাউকে তার ত্বকের রঙ বাছাই করতে দেয় না, তেমনি যৌন পরিচয়ও নিজের হাতে গড়া যায় না। তাহলে এই অবিচার কিসের? আজ না হয় কাল—প্রকৃত মানবিকতার স্বপ্ন বাংলা মাটিতেই গড়ে উঠুক, অন্ধ সংস্কার নয়!]
35 Responses
ভাবলাম একটু পাত্তা দিবো, কিন্তু নিচ্ছি না, চোখে আঁচ লাগে।
মানতে পারছি না তোদের এসব কথা, আমাদের সংস্কৃতি আর ধর্ম মানতেই হবে।
খুব তীক্ষ্ন কথায় কেমন বাজে লাগছে। একটু নমনীয় হওয়া দরকার ছিল।
খানকি মেয়ে, ধর্ম নিয়ে গালাগালি শুনবি প্রতিদিন।
আমরা সবাই তৃতীয় দিক থেকে বুঝি, বেশি কথা না বাড়িয়ে সলিড কিছু বলো।
হুঁ বাপের কথা বলছে, কিন্তু একটু ঢঙে বললে ভালো হতো।
মেয়ের atheist ব্লগ মানেই মাদারচোদ বাজে চিন্তা।
মন্দ লাগছে না, কিন্তু সবাই মানবে এমন তো না, আলোচনার দরকার।
তোমার খেয়াল আছে? এইসব লিখে মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করছো!
এটা কোন নতুন চিন্তা না, কিন্তু সাহস করেই মানুষের চোখ খোলার চেষ্টা করেছো।
দেশটা নষ্ট করেছিস নাস্তিক বেশ্যা হয়ে।
ওরে বাবা, একটু ভালোবাসা দে, সবাইকে কষ্ট কইরা লাভ নাই!
তোর ব্লগে লেখার সাহস দেখে চরম বিরক্তি আসে।
লাগাতে চান? সবাই আপনার মতো চিন্তা করে না, একটু বুঝো আমরা কোথায় আছি।
ঠিক আছে, কথাটা শক্ত, কিন্তু অনেক জায়গায় খানিকটা বুদ্ধি দরকার।
অল্প কিছু জায়গায় সঙ্গত আছে, বাকিটা একটু জমে উঠলে ভালো হতো।
আমি তো মনে করি একটু সৌহার্দ্য রক্ষা করা দরকার, কড়া ভাষা চলে না ভাই।
লেখালেখি মানি, কিন্তু আপনিও একটু বেশি চান্সগ্রহণ করতে পারেন।
কথার মধ্যে অনেক সত্য আছে, কিন্তু প্রচলিত সমাজে সবাই তা মানবে না।
বেশির ভাগ সময় তোমার সাথে সহমত, কিন্তু ভাষার ধরনে সমস্যা আছে বলে মনে হয়।
একদম ভালো লিখেছো, অনেক মজানো বালা লেগেছে!
একটু বেশি সরাসরি কথা বলে ফেললে অনেকেই বিরক্ত হয়, বুঝার চেষ্টা করো।
সাহসিকতা ভালো, কিন্তু গোটা সমাজে মিশতে হবে, তাই কমান্ডার হতে হবে না।
মজার কথা, অনেক জায়গায় তিনি কথা ঠিক বলছেন, যারা বুঝেন সেই তাতে মজা।
ভাই, একটু লুকিয়ে কথা বললে ভালো হয়, সরাসরি বলে সবাই রেগে যায়।
পারছি না বোঝা, এসব বলে কার লাভ? কেউ কেউ একটু মাথা ঘোরা দরকার।
মজা পাচ্ছি তোমার লেখায়, অনেক কথা ভাবার জায়গা দিলি, ভালো কথা।
শোনো, কিছু কথা খুব কঠিন, ভাবনায় না নিচ্ছি, তবে প্রচেষ্টা মনোজ্ঞ।
একটু বুঝে লিখো, সবাই এত তীক্ষ্ন হবে না, ভালোবাসাও দরকার ভাই।
ভালো কথা কী, বুঝছি, কিন্তু কখনো কখনো গলায় দড়ি দেয়া লাগবেই।
অনেক কথা পাগলের বউয়ের মতো, শুনতে ভালো লাগে না, কিন্তু সত্যান্বেষণ দরকার।
কে কোথায় কী বলছে তাতে মন দিবেন না, চিন্তা করার মতো সত্য অনেক।
একদম সোজা কথা, অনেক আগে থেকে শুধু মুখে মুখে বলা হত, তোমার সাহস আশ্চর্য।
ভাই, এটুকুই বলি, একটু ট্রেডমার্ক করে দিবে, সবাই পড়ে পছন্দ করবে।
শুনলাম, তোমার চিন্তা অনেকের থেকে আলাদা, তবে পেছনের কথাও মনে রাখা দরকার।